সবার সঙ্গে বসে আমি এবং বর্ষা “দিন: দ্য ডে” মুভিটি দেখব। দুঃখের বিষয় এই যে শাকিব খান এবং আরও দুই-তিনজন শিল্পী দেশে নেই, যদি তারা দেশে থাকত, তাহলে তাদেরকে নিয়েও মুভিটি একসাথে দেখা যেত।’
ফেসবুক পোস্টের কথা শুনে ববিতা প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমাদের তিন বোনের কারও সঙ্গে জলিল সাহেবের কথা হয়নি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কথা না বলে ফেসবুকে এভাবে নাম লিখে দেওয়ার তো কোনো মানে হয় না। এ ধরনের মিথ্যাচার মোটেও ভালো নয়। আমি কিছুদিন পরই দেশের বাইরে ছেলের কাছে যাব, তাই এখন অনেক কাজ। অনেক ব্যস্ততা। কোথা থেকে এল সিনেমা হলে ছবি দেখব, এগুলো তো মিথ্যা কথা। আমাদের নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে এ ধরনের কথা ছড়ানোর মানে কী! এই জন্যই না আজকাল আমি কারও সঙ্গে কথা বলতে চাই না। এগুলো দেখলে খুবই খারাপ লাগে। এভাবে কেউ মিথ্যা কথা বলতে পারে! দিস ইজ নট গুড।’
আপনার বড় বোন সুচন্দা আর চম্পা নাকি আমন্ত্রিত, এমন প্রশ্নে বিরক্তি প্রকাশ করে ববিতা বললেন, ‘বললাম না, আমাদের কারোর সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। এগুলো সব মিথ্যা কথা। যোগাযোগও করা হয়নি। বলাও হয়নি। তাঁরা হয়তো ভাবছেন, আমাদের নাম জুড়ে দিলে পাবলিসিটি হবে, কিন্তু মিথ্যা বলে পাবলিসিটি করে চলচ্চিত্রের দর্শকদের সঙ্গে প্রতারণা করার তো অর্থ হয় না। অনুমতি ছাড়া কারও নাম ব্যবহার করাটা ভালো কথা নয়।’
আপনার সঙ্গে অনন্ত জলিলের কখনো কি দেখা হয়েছিল, এমন প্রশ্নে ববিতা বললেন, ‘আমি বোধ হয় সেবার কানাডা যাচ্ছি, তখন এয়ারপোর্টে ওই ভদ্রলোক (অনন্ত জলিল) এবং তাঁর ওয়াইফের (বর্ষা) সঙ্গে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা হয়েছিল, তা-ও বোধ হয় ৫-৭ সেকেন্ডের মতো। এই ঘটনাও ৫-৬ বছর আগে। এ ছাড়া কোনো দিন তাঁকে আমি দেখিওনি। চিনিও না, আলাপও নেই সে রকম।’
এবার ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে তিনটি সিনেমা। এর মধ্যে শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে চলছে অনন্ত জলিল প্রযোজিত ও অভিনীত ‘দিন: দ্য ডে’। এই সিনেমাতেও অনন্তর নায়িকা তাঁর স্ত্রী বর্ষা। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। বাংলাদেশ ছাড়াও ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তানে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। যৌথ প্রযোজনার এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন অনন্তর বন্ধু সুমন ফারুক, খল অভিনেতা মিশা সওদাগরসহ অনেকে।